Bangla Fishing

Banglafishing.com

AD

Friday, December 7, 2018

অনলাইন ওয়ার্ল্ড কাঁপানোর গল্প ব্ল্যাক আর্মি-পর্ব এক

www.banglafishing.com

..................... ব্ল্যাক আর্মি..................
বাংলাদেশ বনাম মায়ানমার যুদ্ধ নিয়ে তৈরি করা এই যুদ্ধ কাহিনী
লেখা - Farabi👻👻
(পর্ব এক)💏
এক নাগারে বেহায়ার মতো কে যেন কলিংবেল বাজিয়েই যাচ্ছে! রান্না ফেলে তাড়াতাড়ি করে মাথায় কাপড় দিতে দিতে দরজার খুললেন রাখি। দরজা খুলতেই হাসি ফুটে উঠে রাখির ঠোঁটের এক কোণে। মুচকি হেসে বললেন,
- এসেছিস বাবা?
রাখির চোখের দিকে এক নজর চেয়ে কোনো উত্তর না দিয়েই ঘরে ঢুকে পড়ে ফারাবী। হাতের ফাইলটা টেবিলের উপর ছুড়ে ফেলে সোফায় বসে পড়ে সে।
- কি হয়েছে তোর? রাখি বলল।
- চাকরি হয়নি! ফারাবী বলল।
- মানে? কেন? কি বলছিস এসব?
- মেডিকেলে আনফিট! মেডিকেলে বাদ পড়েছি।
- তোর সেই থুথু মারার বদ অভ্যাসের কারণে বাদ পড়লি নাকি?
- উফ আম্মু তুমিও না....বললাম তো মেডিকেল আনফিট!
- মন খারাপ করিস না, পরের বার আবার চেষ্টা করবি। দেখবি ঠিক হয়ে যাবে!
- কিছু ভালো লাগছে না আমার।
- আরে আরো তো সময় আছে, পরের বার এপ্লাই করিস ঠিক আছে? এখন ফ্রেস হয়ে টেবিলে আয়, আমার খাবার দিচ্ছি।
টেবিলের উপর ছুড়ে ফেলা ফাইলটি হাতে নিয়ে নিজের রুমের দিকে রওনা দেয় ফারাবী। রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরেছে মাত্র। স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন দুর্ধর্ষ ক্যাপ্টেন হওয়ার। ক্যাডেট কলেজ থেকে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষিত ছেলে হয়েও ভাগ্যের এই করুণ অবস্থা। ক্লাস সেভেনে ক্যাডেটে পড়া শুরু করে, সেই থেকে ক্যাডেট জীবন শুরু। এসএসসি ও এইচএসসিতে এ+ এর আশায় হয়তো নির্ঘুমে পার করেছে কতরাত। অবশ্য সেই কষ্টের ফল শুধু রেজাল্টেই পেয়েছে, চাকরিতে নয়। শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে কথাগুলো ভাবছে ফারাবী। খাবে বলেও না খেয়েই শুয়ে পড়ে সে। শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছে তার। প্রায় সকাল থেকে রোদের মাঝে থাকতে হয়েছে। সেনাবাহিনীর মাঠ বলে কথা, কষ্ট না করলে চলবেই না। হঠাৎ ফারাবীর মনে পড়ে গেল, আজ রেদোয়ানের ও মাঠ ছিল। ফারাবী আর রেদোয়ান একসঙ্গেই এপ্লাই করেছিল। মুহূর্তেই ফোনটা তুলে নিয়ে কল দেয় রেদোয়ানকে। নম্বরে ডায়াল করে ফোন কানে লাগায় ফারাবী। কিছুক্ষণ রিং হতেই রিসিভ করে রেদোয়ান,
- হ্যালো, কই তুই? ফারাবী বলল।
- বাথরুমে ব্যাটা, সাবানটা যে কই! রেদোয়ান বলল।
- কি?? হালা তোর আর কাজ নাই! যাহ কাজ শেষ করে ফোন দিস, আমি রাখলাম!
- আরে বল না! ফ্রি আছি তো!
- আরে তুই বাথরুমে, কি বলছিস এসব!
- বল সমস্যা নেই, মাত্র পানি ঢাকললাম এখনো সাবানই খুজে পাইনি।
- আচ্ছা শোন, তোর চাকরির কি হলো?
- আর বলিস না, এই গরমের মাঝে শার্ট প্যান্টের ভেতরে কিছু পরিনি। আর ওখানে গিয়ে.............
- কি! হালা তুই দেখছি সারা আর্মি ডিফেন্সের মানসম্মান খাবি!
শুয়া থেকে উঠে বসে বলল ফারাবী।
- কি করবো বল? এমন গরমে কিভাবে ভেতরে কাপড় পড়ি? কত লজ্জা পেয়েছি জানিস!!
- তোকে বলেছিলাম যে ভেতরে কিছু না পড়ে গেলে সবার সামনে মানসম্মান খোয়াতে হবে।
- এখন কি করি বল! সব দোষ ওই হারামজাদা রোদের!
- তার মানে তুই বলতে চাচ্ছিস যে তোরও চাকরি হয়নি?
- না হয়নি, তোরও কি চাকরি হয়নি?
- না! মেডিকেলে আনফিট!
- তোর তো মেডিকেল আনফিট, আর আমার তো!
- তোর চাকরি হবে কিভাবে! এমন অবস্থায় গেলে চাকরির বদলে লজ্জা নিয়ে আসবি! আচ্ছা বাদদে, নেক্সট টাইম আবার চেষ্টা করিস!
- তুই করবি না?
- হ্যাঁ করবো, আম্মু বলল পরবর্তীবার চেষ্টা করতে! নিয়োগ দিলে একটু কষ্ট করে জানিয়ে দিস দোস্ত!
- আচ্ছা আমি সাবান পেয়েছি! পরে কথা বলবো, গোসলটা সেরে নেই।
- যা মর!
টুট টুট টুট
ফারাবীর আগেই লাইন কেটে দেয় রেদোয়ান। আবার শুয়ে পড়ে ফারাবী। মাথাটা কেমন যেন করছে তার। আজ তার চাকরি হয়নি শুনলে সে তার সাথে কথা বলবে তো? দুদিন ধরে কথা হয়না তার সাথে। মেয়েটার কথা মনে পড়তেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ফারাবীর। ফোনটা হাতে নিয়েই "সিনথিয়া" লেখা নম্বরে ডায়াল করলো। কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পরই রিসিভ করে সিনথিয়া,
- হ্যালো? সিনথিয়া বলল।
- কেমন আছো?
ফারাবী বলল।
- হ্যাঁ ভালো, কখন বাড়ি ফিরলে তুমি?
- এইতো ফ্রেস হয়ে মাত্র শুইলাম!
- বাসায় এসেই কি ফোনটা টিপলে হয়না? আচ্ছা ছাড়ো, তোমার চাকরির কি খবর?
সিনথিয়ার প্রশ্ন শুনে ঘাবড়ে যায় ফারাবী। কিভাবে কি বলবে সিনথিয়াকে! চাকরি হয়নি শুনলে যদি আর কথা না বলে! না, সে এমন মেয়ে নয়।
- আরে কি হলো? বোবা নাকি!
সিনথিয়ার কথায় বাস্তবে ফিরে ফারাবী। নিজেকে সাত্বনা দিয়ে বলল,
- আসলে, আসলে আমি মেডিকেলে বাদ পড়েছি!
- তার মানে চাকরি হয়নি তাইতো? কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল সিনথিয়া।
- হুম, এখন কি করবে তুমি জানো!
দুজনই নীরব হয়ে আছে। সিনথিয়া স্পষ্ট বুঝতে পারছে যে ফারাবী ভয় পাচ্ছে! বেশ কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর নীরবতা ভেঙ্গে সিনথিয়া, মুচকি হেসে বলল,
- থাক, মন খারাপ করোনা। তোমার তো আর বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে না। তাহলে সমস্যা কোথায়! পরেরবার চেষ্টা করো, ঠিক চাকরি হয়ে যাবে!
সিনথিয়ার কথা শুনে মুচকি হাসে ফারাবী। ভেবেছিল সিনথিয়া যোগাযোগই বন্ধ করে দিবে। তবে তার ধারণা ভুল প্রমাণ করে সিনথিয়া। ফারাবীর চুপ থাকা দেখে সিনথিয়া বলল,
- কি হয়েছে? ঘুমিয়ে পড়লে নাকি!
- না-না ঘুমিয়ে পড়বো কেন! বারান্দায় দাড়িয়ে হেলিকপ্টার দেখছিলাম।
- হাহাহা, তুমিও না! আচ্ছা শুনো, আজ কয় তারিখ মনে আছে?
- মনে হয় ২৪ তারিখ। কেন?
- কোন মাস চলছে? কিছু খেয়াল আছে?
- কেন? মার্চ চলছে? জানোনা তুমি?
- ধুর প্রতিবছরই তো আমি মনে করিয়ে দেই, আর কত মনে করিয়ে দিব বলো?
- আচ্ছা কি হয়েছে বলবে তো?
-শকিছু না, থাকো তুমি!
টুট টুট টুট!
বলেই ফোন রেখে দেয় সিনথিয়া। কিছু বুঝতে পাড়লো না ফারাবী। আবার কল দিল সিনথিয়াকে। তবে রিসিভ করলো না মেয়েটা। দিনটি খুব চেনা চেনা লাগছে ফারাবীর। অন্যান্য বইয়ের সাথে সাজানো সিনথিয়ার দেওয়া বইটির দিকে তাকায় ফারাবী। বইটি নামানোর চেষ্টা করে, তবে সেটা বেশ উপরে। টেবিল থেকে চেয়ারটা নিয়ে চেয়ারের উপরে উঠে বইটা নামানোর চেষ্টা করে ফারাবী। হঠাৎ পা পিছলে ১০-১২টা বইয়ের সাথে ধপাশ করে নিচে পড়ে ফারাবী!
- কিরে ভাইয়া কি হয়েছে? ফারিহা বলল।
- কিছু না, পড়ে গেলাম আর কি! ফারাবী বলল।
- ছাগলের মতো সেখানে কেন উঠেছিলি? এবার এতগুলো বই যে ফেললি, কে ঠিক করবে এসব?
- তোর ভাবীর দেওয়া বইটি দরকার ছিল।
- এই বই তুই মোট পাঁচ বার পড়ে শেষ করেছিস, এখন আবার কি চাই? (ফারিহা)
- আর বলিস না, তোর ভাবী আজকের তারিখ জেনেও বারবার জিগায়! শেষমেষ রাগ করে কথাই বলছে না। তাই ভাবলাম বইয়ের তারিখ দেখে যদি কিছু মনে পড়ে!
- হায় আল্লাহ তুমি আমাকে তুলে নাও! গাধা কোথাকার আজ তোদের প্রেমের চার বছর হয়েছে!! যে প্রেম করে সে নিজেই মনে রাখে না।
- Oh my god আমি মেডিকেল কলেজে গেলাম!!!
বলেই উঠে দৌড় দেয় ফারাবী।
-.কই যাচ্ছিস দাড়া! এতগুলো জিনিস কে ঠিক করবে?? ধ্যাত!!
বাইক নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের দিকে ছুটে যায় ফারাবী। গেইটের সামনে বাইকটা থামিয়ে সানগ্লাসটা খুলে গেইটের ভেতর প্রবেশ করলো। কলেজের দুতোলায় উঠতেই সিনথিয়ার সামনে পড়ে যায় ফারাবী। সিনথিয়াকে দেখে ঘাবড়ে যায় সে, পুরোপুরি সার্জারির পোশাক পড়েছে সিনথিয়া। ফারাবীর এই অবস্থা দেখে ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিনথিয়া বলল,
- থাক, আর দৌড়তে হবেনা। তুমি যে আসছো সেটা আগেই খবর পেয়েছি!
- এভাবে কেন সেজেছো? ফারাবী বলল।
- O.T তে কিছু কাজ ছিল, ডিউটিতে ছিলাম। এইমাত্র শেষ হলো।
- সিনথিয়া I'm Sorry! আর এমন হবে না।
- থাক, আর সরি বলতে হবে না। আমাদের তিন বছরের সম্পর্কে তিনবারই এই একই কথা বলেছো, এই নিয়ে চারবার!
সিনথিয়ার কথা শুনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে ফারাবী। সিনথিয়া কিছুটা বিরক্তির ভাব নিয়ে বলল,
- তোমার প্যান্টের চেইন লাগাও!
ফারাবী চেয়ে দেখে তার প্যান্টের চেইন খোলা। সঙ্গেসঙ্গে চেইন লেগিয়ে আশেপাশের কেউ দেখছে কিনা খেয়াল করলো ফারাবী। সিনথিয়া আবার বলতে শুরু করলো,
- এত ক্যায়ারলেস কেন তুমি? কিছু মনেও রাখতে পারোনা, ঠিক মতো চলতেও পারোনা, এখন তো দেখছি প্যান্টের চেইনটাও খোলা!
- আস্তে আস্তে!! সবাই শুনছে তো!
আস্তে আস্তে বলল ফারাবী।
- আস্তে বললেই বা কি আর জোরে বললেই বা কি? তুমি তো আর ঠিক হওনা, আর......
কথা শেষ করতে পারলো না সিনথিয়া, অন্যান্য ছাত্রীরা কাজে ডাকছে তাকে। ফারাবীর দিকে চেয়ে সিনথিয়া বলল,
- শুনো, এখন বাড়ি যাও। আমার ডিউটি আছে, ঠিক আছে? রাতে কথা হবে। Love you mr. careless!
বলেই নিজের কাজে চলে গেল সিনথিয়া। সিনথিয়ার চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দেয় ফারাবী। হাজার হলেও তাকে ছেড়ে যায়নি সিনথিয়া।
অন্যদিকে,
মাঠ জুড়ে ফুটবল খেলছে ছেলেরা। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে দেখে একজন বলল,
- সাব্বির, আর কতক্ষণ খেলবি? চল না ভাই!
- আরে আর মাত্র কিছুক্ষণ বাকি। খেলা শেষ হলেই ফিরে যাব! সাব্বির বলল।
- সন্ধ্যা হয়ে আসছে তো, পরে বকা শুনতে হবে!
- আচ্ছা চল তাহলে। সাব্বির বলল।
ফুটবলটা হাতে তুলে নিয়ে সবার সাথে মাঠ ত্যাগ করে সাব্বির।
তিনবছর পর,
সেদিনের সেই বোকা ছেলেটা আজ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ফারাবী। সাভার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ইষ্ট বেঙ্গলের দুর্ধর্ষ ক্যাপ্টেন। সিনথিয়া আজ ঢাকা মেডিকেলের ডঃ সিনথিয়া। সেই হতভাগা রেদোয়ান আজ কমান্ডো ক্যাপ্টেন রেদোয়ান। সেদিনের সেই ফুটবল খেলায় মেতে থাকা ছেলেটি, যার মন জুড়ে শুধুই দেশপ্রেম! সে আজ সিগন্যালের সাহসী সৈনিক সাব্বির! সবকিছুই যেন বদলে গিয়েছে আজ।
অফিসের জন্য বেরিয়েছে ফারাবী, পেছন পেছন সিনথিয়া এসে বলল,
- যাচ্চো?
- হ্যাঁ!
- কোথায়?
- কেন অফিসে?
- তাহলে চায়ের কাপ সাথে নিয়ে যাচ্ছো যে?
- Oh sorry ভুলে গিয়েছিলাম।
কাপটা সিনথিয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল ফারাবী, সিনথিয়া কাপটা নিয়ে বলল,
- কখন ফিরবে?
- ঠিক বলতে পারছিনা সিনথিয়া। শুনো, দেরি হলে চিন্তা করবে না। মাত্র ছুটি শেষ করেছি, দেরিও হতে পারে। নিজের খেয়াল রেখো। দুপুরে সময় মতো খেয়ে নিও, ফারদিন আর ফারদিনাকেও খাইয়ে দিও। কেমন?
- আর তুমি?
- আমি অফিসের ক্যান্টিন থেকে কিছু খেয়ে নিব!
সানগ্লাসটা পড়তে পড়তে বলল ফারাবী।
- ঠিক আছে, তাড়াতাড়ি ফিরবে কিন্তু!
- ঠিক আছে নিজের খেয়াল রেখো।
বলেই অফিসের উদ্দেশে রওনা দেয় ফারাবী। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের অফিসে যাচ্ছে সে। নাম, কমান্ডার রুমেল! অফিস রুমে ঢুকে সেলুট দেয় ফারাবী। কমান্ডার রুমেল তাকে দেখে বলল,
- Hellow Farabi, how are you? sit down please!
- Thank you sir, I'm fine. (ফারাবী)
- Good, now listen. গতকাল বার্মিজ সেনাদের সাথে বিজিবির গোলাগুলি হয়েছে, শুনেছো?
- Yes sir,
- Good, এই গোলাগুলিতে তিনজন বিজিবি মারা গেছে। আর বেশি সমস্যা হলেই, আর্মি পাঠানো হবে।
- Sir, I want to tell you something!
- Ok বলতে পারো।
- স্যার, আমি শুনেছি, মিয়ানমারের নাকি বাংলাদেশে Attack করার পরিকল্পনা আছে? Is it true sir?
- Right, Captain. it's true.
এই পরিকল্পনা তাদের অনেক আগে থেকেই। বার্মিজ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমান্তে ঘুরঘুর করছে, তারা চাচ্ছে যে আমরা তাদের হেলিকপ্টারে আক্রমণ করি। বাংলাদেশ আক্রমণ করলেই তারা যুদ্ধ বাধিয়ে দিবে! তাই আমরা এই মরণ ফাঁদে পা দিচ্ছিনা! রহিঙ্গাদের উপর কেমন নির্যাতন করছে, দেখছোই তো।
- স্যার, আজ তাহলে আসি। Sorry to distrub you sir, bye!
বসা থেকে উঠে রুমেলকে সেলুট দিয়ে বলল ফারাবী।
- Bye Farabi!
রুম থেকে বেরিয়ে আসে ফারাবী। বেরুতেই সৈনিক সাব্বিরের সাথে দেখা হয় ফারাবীর, ফারাবীকে সেলুট দিয়ে সাব্বির বলল,
- Good morning sir!
- Hey Sabbir! How are you? Come Here! ফারাবী বলল।
- Sorry sir, I can't. বিজিবি ক্যাম্প যেতে হবে!
- কেন?
- স্যার, শুনেছি, সেখানের অবস্থা তেমন ভালো নয় স্যার।
- ওহ, আচ্ছা তোমাদের সাথে কি কোনো অফিসার যাচ্ছেন?
- তেমন কেউ নেই স্যার, তবে মেডিকেল কোর থেকে সার্জেন্ট নুরি আমাদের সাথে সাথে যাচ্ছে!
- Okay, You can go now, I have some work to do. Have a nice journey!
- Thank you sir!
সেলুট দিয়েই কাজে চলে যায় সৈনিক সাব্বির। ফারাবী পা বাড়ায় নিজের অফিসের দিকে।
বিমানবাহিনী ইয়ার পোর্ট।
লম্বা সরু রাস্তায় লেন্ড করছে বিমানবাহিনীর একটু প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটির কিছু সামনেই অপেক্ষা করছে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিয়াজ। বিমানটি থেকে নেমে আসে পাইলট জারিফ! তার প্রশিক্ষণ কালই শেষ হতে যাচ্ছে। তারপরই পুরোপুরি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাইলট হিসেবে যোগ দিবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে! হ্যালমেট হাতে নিয়ে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিয়াজের সামনে এসে সেলুট দেয় পাইলট জারিফ। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিয়াজ তাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
- Well done Jarif, Well done! প্রশিক্ষণের শেষ ধাপে তুমি। Now go, go!
- Thank you sir! জারিফ বল।
সেলুট দিয়ে চলে যায় পাইলট জারিফ। সানগ্লাসটা খুলে জাফিরের চলে যাওয়া দেখছে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিয়াজ!
অফিসে বসে কাজে ব্যস্ত ফারাবী। প্রায় ঘন্টা খানেক পর সৈনিক কাওসার রুমে এসে সেলুট দিয়ে বলল,
- স্যার, খবর পেয়েছেন কোনো?
কাওসারের দিকে চেয়ে ফারাবী বলল,
- কি খবর কাওসার?
- স্যার, এই মাত্র আবারো বিজিবি ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে!
- What? What do you mean??
- স্যার, ক্যাপ্টেন সজীব স্যাররা সেখানে গিয়েছিলেন!
- ওহ হ্যাঁ, তাদের কিছু হয়নি তো?
- শুনেছি স্যার, সৈনিক মুনতাসির কিছুটা আহত হয়েছে!
- Oh my god! আচ্ছা তুমি এখন আসতে পারো!
- Thank you sir!
ফারাবীকে সেলুট দিয়ে চলে যায় সৈনিক কাওসার। চিন্তিত হয়ে পড়ে ফারাবী।
ফারাবী সারাদিন ডিউটি করে রাতে বাসায় ফিরে। বাসায় এসেই ফারদিনকে কোলে নেয় ফারাবী। এসব দেখে সিনথিয়া বলল,
- ছেলেকে পরে আদর করো, আগে ইউনিফোর্ম তো খুলো।
- কেন? আমার একটা মাত্র আব্বু তাকে কোলে নিব নাতো কাকে নিব?
- আর মেয়েটা কার শুনি?
- মেয়েটা ফারাবীর, আর ছেলেটা আমার।
- হাহাহা, তোমার ছেলেও তোমার মতো শয়তান হবে।
- সেটা তো হবেই, আমার আব্বু আমার মতো অফিসার হবে, নাম হবে ক্যাপ্টেন ফারদিন। তাইনা আব্বু?
- এবার দেখি ফারদিনকে আমার কাছে দাও, ঘুম পাড়িয়ে আসছি। টেবিলে খাবার রাখা আছে, খেয়ে নাও তুমি।
ফারদিনকে কোলে নিয়ে সিনথিয়া বলল,
- আচ্ছা, কাল তো Off day তাইনা?
- হ্যাঁ, কেন কিছু বলবে?
- তোমাকে এখন অফিস যেতে দিতেও আমার ভয় করে। আজ নাকি সীমান্তে ঝামেলা হয়েছে।
- হাহাহা, আরে আমার অফিস কি সীমান্তে নাকি? নাকি আমি বিজিবি?
- তবুও কেমন যেনো লাগছে আমার!
- আহা, বাদ দাও তো। যাও ফারদিন আর ফারদিনাকে ঘুম পাড়িয়ে এসো।
ফারাবীর কথা মতো ফারদিনকে নিয়ে ব্যাডরুমে যায় সিনথিয়া। গুনগুন করে গান গেয়ে ছেলেমেয়েদের ঘুম পাড়াচ্ছে সিনথিয়া। ব্যাডরুমের দরজায় হেলান দিয়ে সব দেখছে ফারাবী। রাখির কথা খুব মনে পড়ছে তার। ফারাবীকে দেখে ইশারায় "কি হয়েছে" বলল সিনথিয়া। ইশারায় "কিছু না" বলে চলে আসে ফারাবী। খাবার টেবিলে বসে রাখির নম্বরে ডায়াল করে ফারাবী। কিছুক্ষণ পর রিসিভ করে রাখি বলল,
- কিরে কেমন আছিস?
- ভালো না থাকলেও, ভালো থাকার অভিনয় করতে হচ্ছে আম্মু।
- কেন বাবা?
- দেশের অবস্থা মোটেও ভালো না!

No comments:

Post a Comment

AD